মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ২০২১-২২ অর্থবছরে পল্লী সড়ক ও সেতু মেরামতের আওতায় ১০ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ মিলেছে। সম্প্রতি প্রাক্কলন অনুমোদন সভায় উপজেলার ৬টি গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে এই অর্থ বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট। এসব উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন হলে কমবে জনদুর্ভোগ আর উন্নতি হবে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের জীবনমান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় উপজেলার অধিকাংশ গ্রামীণ সড়কের পিচঢালাই উঠে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দক সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে অনেক সড়কে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হাঁটাও দায়। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে জানমালের ক্ষতিসাধন হয়। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙাচোরা সড়কগুলো সংস্কারের দাবি জানান উপজেলার সচেতন নাগরিক সমাজ। এছাড়া উপজেলার গ্রামীণ সড়কের বেহাল অবস্থা নিয়ে সচিত্র। এরপর নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সংস্থাটি উদ্যোগ নেয় ভাঙাচোরা সড়ক উন্নয়নের। গত ৫ আগস্ট ৬টি জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ সড়ক মেরামতের জন্য অর্থবরাদ্দ চেয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌলশ অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়।

প্রাক্কলন অনুমোদন সভায় ৬টি সড়ক উন্নয়নে ১০ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এছাড়া অর্থ বরাদ্দের আশ্বাস মিলে উপজেলার ভাঙাচোরা সব সড়ক উন্নয়ন ও নতুন ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের। অর্থ বরাদ্দপ্রাপ্ত সড়কগুলো হলো- সাড়ে ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য উপজেলার চারিগ্রাম-বরুন্ডি সড়ক (৩ কেটি ৩১ লাখ টাকা), ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ বলধারা-উত্তর জামশা বাজার সড়ক (১ কোটি ১১৫ লাখ টাকা), পৌনে ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সিঙ্গাইর-সুয়াপুর ভায়া কাংশা সড়ক (৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা), সাড়ে ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য জয়মন্টপ-মানিকনগর সড়ক (১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা), দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সিঙ্গাইর-তালেবপুর সড়ক (৭১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা) ও প্রায় ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে বলধারা ভাষা শহিদ রফিক সড়ক (৪০ লাখ ৩১ হাজার টাকা)। প্রাক্কলন অনুমোদন সভায় ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সঞ্জয় হালদার, সড়ক ও সেতু রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিটের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিপুল চন্দ্র বনিক, ঢাকা আঞ্চলিক তত্বাবায়ক প্রকৌশলী প্রকাশ দত্ত বিশ্বাস ও প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ রুবাইয়াত জামান বলেন, জনগণের ভোগান্তি লাঘবে উপজেলার ভাঙাচোরা গ্রামীণ সড়ক মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়। সম্প্রতি প্রাক্কলন অনুমোদন সভায় উপজেলার ৬টি সড়ক উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। সড়কগুলোর উন্নয়ন কাজের দরপত্র আহ্বানের প্রস্তুতি চলছে। এই ৬ সড়কসহ অন্যান্য ভাঙাচোরা সড়কের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন হলে উপজেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। এতে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর।